পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউনিয়নে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক ।
মোস্তফা মিয়া- পীরগঞ্জ,রংপুর থেকে
রংপুরের পীরগঞ্জের ৪ নং কুমেদপুর ইউনিয়নের হাট-বাজারে হাত বাড়ালেই অনায়াসে মিলছে মাদক। ফলে যুব সমাজের অবক্ষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়-ইদানিং উক্ত ইউনিয়নের বউলবাড়ী মাহামুদপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার পুত্র সজিব মিয়া, মৃত আসাদ মিয়ার পুত্র রাসু মিয়া এবং চকপাড়া গ্রামের দুদুমিয়ার পুত্র আশরাফুল মিয়া তার কয়েকজন সহযোগিদের নিয়ে প্রকাশ্যে মাদক সেবন সহ ইয়াবা, হোমিও রেকটি ফাইট স্পিরিট ও দেশী চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সহসায় হাতের নাগালে এ সকল মাদক দ্রব্য পাওয়ায় যুব সমাজ সহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররাও আসক্ত হচ্ছে বলে জানায়,কুমেদপুর চক পাড়া গ্রামের লাবুমিয়া, রিজন মিয়া,শরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সহ আরও অনেকে। এ ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুলকে বাধা নিষেধ করতে গেলে উল্টো হুমকি ধামকি সহ হেনস্তা হতে হয় বলেও জানায় এলাকাবাসী। এমন কি সাংবাদিকরাও এদের নিকট লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ আগষ্ট কয়েক জন সংবাদ কর্মি বউলবাড়ী গ্রামে মাদক সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে গেলে মাদক ব্যবসায়ী সজিবমিয়া ও রাসুমিয়া সাংবাদিকদের ও উপর হামলা চালিয়ে মোবাইল ফোন ভাঙচুর করে। এ নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় ১ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করলে মাদক ব্যবসায়ী রাসু মিয়াকে পুলিশ গ্রেফার পুর্বক জেল হাজতে প্রেরন করে, মামলা নং-০২।
অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগিদেও গত সোমবার বিকেলে মাদক সেবনরত অবস্থায় একটি কাপড়ের ব্যাগে মাদকসহ প্রকাশ্যে বিচরণ করতে দেখে পীরগঞ্জ থানায় ফোন করে এলাকাবাসী। ফোন পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই সুবোধ চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্সসহ কুমেদপুর বাজারে এসে অভিযানের প্রস্তুতি নেয়ার প্রাক্কালে সুচতুর মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল মাদকের ব্যাগটি বাজারের পার্শে ছুড়ে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানায়- রফিকুল ইসলাম, সাজুমিয়া সহ এলাকার অনেকে। পরে পুলিশ উক্ত ব্যাগটি থেকে ১১ বোতল রেকটি ফাইট স্পিরিট উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে উক্ত পুলিশের এস আই এর সাথে মুটোফোনে কথা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। মাদক ব্যবসায়ীর বিরোদ্ধে কোন মামলা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে-“ মাদক সহ হাতে-নাতে ধরতে পারিনি বলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করা যাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে।
অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশফাক হোসেন ফুয়াদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন- “ আমরা জন প্রতিনিধি, অনেক সময় অনেক কিছু আমাদের এরিয়ে যেতে হয় কিস্তু প্রসাশন ইচ্ছে করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ সব দমন করতে পারে।